আল্লাহর সুন্দর নামগুলো কী কী?
আল্লাহ তায়ালার কোরআন এবং সহিহ হাদীসে বর্ণিত ৯৯টি নাম রয়েছে।
কেন ৯৯টি নাম আছে? এই তথ্য কোথা থেকে এসেছে?
এই নামগুলো কোরআনের আয়াত ও হাদীস থেকে নেওয়া হয়েছে।
কেন ১০০ নয়, ৯৯?
কারণ হাদীসে এসেছে:
"আল্লাহর ৯৯টি নাম রয়েছে, যে সেগুলো মুখস্থ করে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।" (বুখারী, মুসলিম)
আল্লাহর অন্য নামও কি আছে?
হ্যাঁ, ৯৯ নামের বাইরে আরও নাম বর্ণিত হয়েছে।
আল্লাহর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ নাম কোনটি?
"আল্লাহ" নামটি সর্বোচ্চ এবং একমাত্র আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট।
কোরআনে দ্বিতীয় সর্বাধিক উল্লেখিত নাম কোনটি?
"রহমান" কোরআনে আল্লাহ নামের পরে সবচেয়ে বেশি এসেছে।
কোরআনে আল্লাহর নামের গুরুত্ব কোথায় বলা হয়েছে?
আরাফ ১৮০, ইসরা ১১০, ত্বহা ৮, হাশর ২৪।
৯৯ নাম মুখস্থ করার ফজিলত কী?
"যে এগুলো মুখস্থ করে এবং অনুযায়ী জীবন যাপন করে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।" (বুখারী, মুসলিম)
আস্মাউল হুসনা পাঠের (জিকির) উপকারিতা কী?
এটি অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে, শান্তি দেয়, বিশ্বাস মজবুত করে।
জিকির কী এবং কীভাবে করা হয়?
আল্লাহর নাম ও গুণাবলি মুখে বলার পরে হৃদয় দিয়ে অনুভব করা।
আস্মাউল হুসনা মানে কী?
“আস্মাউল হুসনা” অর্থ হলো “সবচেয়ে সুন্দর নাম”।
এগুলো পাঠ করলে কী লাভ হয়?
আন্তরিকতা, প্রশান্তি, এবং আত্মার উন্নতি অর্জিত হয়।
প্রতিদিন কতবার পড়া উচিত?
প্রতিদিন অন্তত একবার আন্তরিকভাবে পাঠ করা উচিত।
এর প্রভাব কত সময়ে দেখা যায়?
প্রায় ৪০ দিন নিয়মিত পাঠ করলে প্রভাব অনুভব হতে শুরু করে।
এতে সওয়াব হয় কি?
নিশ্চয়ই, এটি ইবাদত এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির পথ।
কীভাবে পড়া উচিত?
বিসমিল্লাহ বলে শুরু করুন, মনোযোগ সহকারে ধীরে ধীরে পড়ুন।
কী উদ্দেশ্যে পড়া হয়?
মানসিক শান্তি, দোয়ার কবুল, রোগমুক্তি এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য।